নিজস্ব প্রতিবেদক।।জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আশুলিয়ায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে মিলাদ,গণভোজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেল তিন ঘটিকার সময় আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদে চত্বরে ১৫ আগষ্ট উপলক্ষে দোয়া মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন মোঃ শামীম আহমেদ সুমন ভুইঁয়া চেয়ারম্যান ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ।

এবং বিকেল চারটার সময় আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন গোরাট স্কুল মাঠে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল সহ গনভোজের আয়োজন করেন মোঃ আরিফ মাদবর সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগ।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ এনামুর রহমান এমপি ঢাকা ১৯ ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রনালয়,

অন্যদিকে ধামসোনার ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম খান বাবুর সভাপতিত্বে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাভার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও ঢাকা জেলা পরিষদের প্যানেল মেয়র এনামুল হক মুন্সী আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ও ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার মইনুল ইসলাম ভূঁইয়া।

এসময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কিছু কুচক্রী মহল ক্ষমতার লোভে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ সপরিবারে সবাইকে নির্মমভাবে হত্যা করে। সেদিন ঘাতকরা শিশু পুত্র শেখ রাসেল কেও নির্মমভাবে হত্যা করে।

এসময় বক্তারা আরো বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি ইতিহাসের রাখাল রাজা জাতির জনক ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারতো না। বাংলা ভাষা ও মাতৃভাষার গুরুত্ব বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

উক্ত মাহফিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদ, স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহীদদের , ভাষা আন্দোলনসহ ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে দোয়া করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত শেষে সাধারণ মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

আমাদেরবাংলাদেশ ডটকম/শিরিন আলম